লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চররুহিতা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির পাটওয়ারীকে ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও ওসমান গনি এবং পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ তিন মামলায় তাঁকে রিমান্ড দেওয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পৃথক তিন মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে হুমায়ুন কবির পাটওয়ারীকে আদালতে হাজির করে ২৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে আদালত শুনানি শেষে তিন মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের মামা হন। গত ২০ আগস্ট ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সারা দেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পুরো লক্ষ্মীপুর। মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল পুরো শহর। হঠাৎ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা উত্তর তেমুহানী থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঝুমুর চত্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্র আন্দোলকারীদের মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাদ আল অপসারনকৃত চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে মুহুমুহু গুলি ছুড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এর জের ধরে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে এগোতে থাকেন তাঁরা। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগীরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান ও ওসমান গনিসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এ সময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হন কমপক্ষে ৫০০ এর বেশি শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।