চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারিয়েছিল দলীয় ৬৯ রানে। অধিনায়ক এইডেম মার্করামকে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে সাজঘরে পাঠান তাইজুল ইসলাম। এরপর থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে চলেছেন ডি জর্জি ও স্টাবস। এই জুটি থেকে এখন পর্যন্ত এসেছে ১৬৬ রান। দুই জনের ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে প্রোটিয়ারা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান। ডি জর্জি ১০৫ রান ও স্টাবস ৮৯ রানে ব্যাট করছেন।
দিনের প্রথম সেশনে তাইজুল কাপ্তান মার্করামকে ফেরালেও দ্বিতীয় সেশন পুরো হতাশ কেটেছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ২৮ ওভার। যেখানে রান উঠেছে ৯৬। এই সেশনে বাংলাদেশের বোলাররা কেউই কোনো উইকেট পাননি। উল্টো পুরোটা সময়েই চলেছে দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডি জর্জি ও স্টাবসের দাপট।
স্টাবসের ফিফটির পর নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ডি জর্জি। স্টাবসও এগোচ্ছে সেঞ্চুরির দিকে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ব্যাট হাতে সফরকারীদের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত । বাংলাদেশের বোলাররা তেমন একটা দাপট দেখাতে পারেননি এখনও পর্যন্ত। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান আসার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও এসে গেছে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রান।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে সাবলীল শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার টনি ডি জর্জি আর এইডেম মার্করাম সহজেই রান বাড়াতে থাকেন। ইনিংসের ১৮তম ওভারে গিয়ে আসে প্রথম সাফল্য। সেটা মূলত মার্করামের উপহার দেয়া। তাইজুল ইসলামের নীরিহ এক বলে ফ্লিকের মতন খেলতে গিয়ে মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৫৫ বলে ৩৩ করা প্রোটিয়া কাপ্তান।
সেশনের বাকি সময়ে আর কোন বিপদে পড়েনি তারা। ক্রিজে এসে থিতু হতে খুব বেশি সময় লাগেনি স্টাবসের। জর্জিও এগুচ্ছেন ফিফটির দিকে। চার বোলারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল করিয়ে ব্যাটারদের খুব একটা পরীক্ষা নিতে পারেনি বাংলাদেশ দল।