গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এমন মানুষদের নিয়ে গঠিত হোক, যারা নতুন বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। আমরা চাই, যেসব ব্যক্তি এখানে দায়িত্ব পাবেন তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি বা রাজনীতি করেছেন এমন কোনো ব্যক্তিকে যেন নিয়োগ দেয়া না হয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির কাছে নামের তালিকা জমা দেয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মো. রাশেদ খান বলেন, কমিশনারদের নাম প্রস্তাব চেয়ে গণ অধিকার পরিষদকে চিঠি দেয়া হয়েছিলো। গোপনীয় হওয়ায় নাম প্রকাশ করছি না। যারা প্রকৃতপক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে; তাদের নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়া উচিৎ। অতীতের হাবিবুল আউয়াল, রাকিব কমিশনের মতো চাই না। এমন কমিশন চাই না, যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে কাজ করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এমন মানুষদের নিয়ে গঠিত হোক, যারা নতুন বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবে। হাজারও মানুষ জীবন, রক্ত দিয়েছে এমন একটি বাংলাদেশ দেখার জন্য; যেখানে গণতন্ত্র থাকবে। কিন্তু আমাদের গণতন্ত্র বারবার শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের জন্য হোঁচট খেয়েছে। আমরা চাই না, এমন একটি হুদা কমিশন হোক; যার মাধ্যমে অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা চাই, যেসব ব্যক্তি এখানে দায়িত্ব পাবেন তারা সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, অতীতে ছাত্র রাজনীতি করেছেন, এমন ব্যক্তিকেও কমিশনে নিয়োগ দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে নূন্যতম আঁতাত ছিলো বা সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত ছিলো এমন কোনো আমলাকে কমিশনে নিয়োগ দেয়া যাবে না। অতীতে দেখেছি শুধুমাত্র আমলাকেন্দ্রিক নির্বাচন কমিশন। এবার সেটি দেখতে চাই না। এই কমিশনে অন্তত একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে নিয়োগ দিতে হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি সারাজীবন গণতন্ত্র, অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জীবন দেবো? কখনোই না। আমাদের ছাত্ররা, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক কর্মীরা যে লড়াই করেছে; এটি আমাদের সর্বশেষ লড়াই। আমরা আর রক্ত, জীবন দিতে চাই না। এমন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই যেখানে ঐক্য-সংহতি থাকবে।