আদানি বকেয়া পরিষদের ভারত বাংলাদেশ কে প্রায় 200 কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে এই ঋণ নিয়ে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এখনো এই ঋণ নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এই ঋণের উপর ২% ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় ছিল যাতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য বিষয়টি সুবিধাজনক হয।তবে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আলোচনা ভেস্তে গেছে ।জানাজায় সম্প্রতি আদানি পাওয়ার বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। আদানি পাওয়ার ভারতের ঝাড়খন্ডে অবস্থিত এক হাজার ছয়শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্লান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।
তবে ৭ নভেম্বরের মধ্যে পাওনা পরিষদের চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করলেও আগামী পাওয়ার সরকারি অনুমোদন দ্রুত হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে এর কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি আপাতত তুলে নেয়া হয়েছে।
আদানির পাওয়া ছাড়া আরও চারটি ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি বাংলাদেশের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।বাংলাদেশের কাছে এসব কোম্পানিরও বকেয়া রয়েছে।সূত্রে জানা গেছে এই কোম্পানিগুলো এসআইএল এনার্জি ,এনটিপিসি, পিটিসই এবং পাওয়ার গ্রেড অন্যতম ।তবে আদানি পাওয়ারের বকেয়ার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।