শেরপুরে নিখোঁজের সাতদিন পর কলেজ ছাত্র সুমন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার।সুমনের প্রেমিকা আন্নি আক্তারের আরেক প্রেমিক রবিনের বাড়ির উঠান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উঠানে মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুমন মিয়া কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় আন্নির উপস্থিতিতে দুই-তিনজন যুবক জোর করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সুমনের বাবা। গত কয়েকদিনেও সুমনের সন্ধান না পেয়ে তার মা-বাবা, স্থানীয়রা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন শিক্ষার্থী রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা সুমনকে উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
অভিযোগের পর রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকা থেকে আন্নি (১৯) ও মো. আজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে । তবে ময়মনসিংহ থেকে আন্নির অপর প্রেমিক রবিন ওরফে রনিকে আটকের পর খোলে রহস্যের জট। পরে পৌর শহরের সজবরখিলায় পুলিশ সদস্য ফোরকান আলীর ছেলে রবিনের বাড়ির উঠান খুঁড়ে তার দেখানো জায়গা থেকে সুমন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সুমন ও আন্নির মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরমধ্যে, আন্নি রবিনেরও সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। ধারণা, প্রেমঘটিত ঝামেলায় তাকে হত্যা হয়েছে।