শিরোনাম:
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়ি চালক মালেককে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত টেকনাফে নাফ নদীতে ডুবে যাওয়া নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক গ্রেফতার গাজীপুরে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা টঙ্গীতে বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নিতে গিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে অপহরণকারীরা গণমাধ্যম সংস্কারে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবগুলো কার্যকর নেবে সরকার বাজেটে কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা বাতিলের চেষ্টা করতে হবে ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে বাজার সামলাতে বিভিন্ন দেশ থেকে ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

শেখ পরিবার সম্মান ফিরে পেতে চাইলে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে

প্রতিনিধির / ৪১ বার
আপডেট : বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

৭১ পূর্ববর্তী সম্মান ফিরে পেতে হলে 71 পরবর্তী গণহত্যা জোরপূর্বকগুন দুর্নীতি দুর্ভিক্ষ ও নিশ্চিতভাবে 72 সংবিধান যা বাকশাল প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছিল এসবের জন্য আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

শেখ মুজিব ও তার কন্যা (আরেক শেখ) তাদের ফ্যাসিবাদী শাসনের জন্য জনগণের তীব্র রাগ-ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য, শেখ মুজিব একসময় পূর্ব বাংলার গণমানুষের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন, যে জনপ্রিয়তা হাসিনার ছিল না। জনগণ পাকিস্তানি নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার (শেখ মুজিব) নেতৃত্ব অনুসরণ করেছিলেন, কিন্তু একাত্তরের পর তিনি নিজেই একজন জালিম হয়ে ওঠেন। মুজিববাদের প্রতি তার সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতায় একাত্তরের পর পঙ্গু ও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। নিজের ফ্যাসিবাদী ভূমিকার কারণে ১৯৭৫-এ তার মৃত্যুতে মানুষ শোক-অনুতাপ প্রকাশ করেনি।
তবে, শেখ তার একাত্তর-পূর্ব ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন, যদি শেখের একাত্তর-পরবর্তী গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ ও নিশ্চিতভাবেই বাহাত্তরের সংবিধান, যা বাকশাল প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছিল—এসবের জন্য তার দল ও পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান। শেখ-কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কথাও তাদের স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া এবং এ জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত (শেখ মুজিবকে একজন ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাসের পাত্র বানিয়েছিলেন তিনি)। তাদের আরও উচিত, মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনা পরিহার করা।

কন্যার ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে শেখের ছবি সরানো হয়েছে (কর্মকর্তারা সরিয়েছেন, যদিও তা হয়েছে); যে শাসন মেয়ে করেছেন ফ্যাসিবাদী বাবার নামে ও তার একাত্তর-পরবর্তী চেতনার কথা বলে। তার বাবাকে দেবতুল্য করা হয়েছিল, কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে তাদের দুজনের ছবি, ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নামিয়ে ফেলেছেন।
কেউ যদি সরকারি অফিস থেকে শেখদের ছবি সরানোর কারণে আক্ষেপ প্রকাশ করেন, তবে তিনি এ গণ-অভ্যুত্থান ও গণমানুষের চেতনারই নিন্দা জানালেন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না। আমরা এখানে এসেছি, ঐতিহাসিক অসংগতি ও অপব্যাখ্যাগুলো দূর করতে। মনে রাখতে হবে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণমানুষের। আবার, কোনো মুক্তিযোদ্ধাও যদি একাত্তরের পর কোনো অন্যায় করে থাকেন, তার বিচার ও সাজা হওয়া উচিত।

স্বাধীনতাযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন বলেই তাদের (একাত্তরের পর কোনো অন্যায় করা মুক্তিযোদ্ধাদের) এ ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া উচিত নয়। বাংলাদেশের উচিত, শাসক পরিবারগুলোকে দেবতুল্য করা ও সেই ক্ষমতাসীন পরিবারগুলোর সবকিছু নিজেদের বলে মনে করা—এ থেকে বেরিয়ে আসা। ’৪৭ ও ’৭১-এর পাশাপাশি জুলাইয়ের চেতনা আমাদের সবার স্মৃতিতে থাকুক অম্লান!’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ