বাংলাদেশের সব সাংবাদিকদের অধিকার ও স্বাধীনতাকে যথাযথ যেন সম্মান করা হয় তা নিশ্চিত করতে চাই যুক্তরাষ্ট্র ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পর রাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত বিভাগে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
সম্প্রতি তিন দফায় দেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে এই প্রসঙ্গ তুলে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন– বাংলাদেশে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ব্যুরো চিফসহ ১৮৪ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক খবরে বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহায়তার জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর এই বিধিনিষেধ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপের বিষয়ে বিবেচনা করছে? সম্প্রতি কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছে। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কী?
বেদান্ত প্যাটেল বলেন আমি ওই নিউজ দেখিনি ।এটা যদি সত্যি হয় তাহলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক । আমরা জোরালোভাবে মনে করি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিসহ যে কোন পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে সংবাদপত্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা এটা উৎসাহিত ও নিশ্চিত করতে চাই যে সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকার কে যথাযথ সম্মান দেয়া হোক ।
এক সাংবাদিক জানতে চান, ১০ নভেম্বর ঢাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক সমাবেশ করতে বাধা দেয়ার পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে? ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা কী? তার সমর্থকরা এর আগে বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন।
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা ভিন্নমতের ও বিরোধীদেরসহ সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারে সমর্থন করি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এসব স্বাধীনতা যেকোনো গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য উপাদান। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সব অংশীদারদের এই সমর্থনের কথা জানাই। দেশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সব বাংলাদেশির জন্য এসব স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং রক্ষা করা জরুরি।