নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম কে রাজধানী থেকে গ্রেফতার। ইস্থানিও এক ছাত্রদল নেতার বেবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলার আসামি তিনি। র্যাব -১৪ অভিযান চালিয়ে ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার করে তাকে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ র্যাব -১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাজুল ইসলাম জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কাউরাট গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের ছেলে। তিনি কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২৮ জুলাই কেন্দুয়া থানা গেট সংলগ্ন ‘তানজিম শপিং পয়েন্ট এন্ড গিফট কর্নার’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালায় নেতাকর্মীরা। ছাত্রদল নেতার মালিকানাধীন ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে ৩৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় সরকার পতনের পর ২১ আগস্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মোবারক হোসেন বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্থানীয় সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল, তার স্ত্রী সাবেক এমপি অপু উকিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূঞা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ১৪৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
সরকার পতনের পর তারা গা ঢাকা দেয়। র্যাব পলাতকদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। গতকাল বুধবার রাতে ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতাল এলাকায় তাজুল ইসলামের অবস্থান সনাক্ত করে র্যাব।পরে র্যাব- ১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ঢাকার র্যাব-২ এর সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। মামলার অন্য পলাতক আাামিদের ধরতে অভিযান চলামান রয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই চৌধুরী।
কেন্দুয়া থানায় ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর কাইয়ুম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে তাজুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হবে।