দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য করা কুইক রেন্টাল নিয়ে প্রশ্ন বহুদিনের সিপিডির গবেষণায় গত ১৫ বছরে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে নয় ছয় হয়েছে এক লাখ কোটি টাকা ।অথচ এসব প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না এমন আইন করে আওয়ামী লীগ সরকার ।
৫ই অগাস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর কুইক রেন্তালের দায়মুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিড হয় ।বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায় দিলেন ,দায় মুক্তি দিয়ে করা আইন অবৈধ । ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে একক ব্যক্তিকে দেয়া ক্ষমতা এসে থাকতে পারে না ।গণতান্ত্রিক দেশে থাকতে পারে না এটি সংবিধানের পরিপন্থী ।
আদালত বলেন ,দেশ ও জনগণের স্বার্থে বন্ধ থাকা সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো দ্রুত যেন উৎপাদনে যেতে পারে সে বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।এ রায়ের ফলে ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রহীত করা হলো ।এখন সরকার চাইলে ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।