শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন

আগামীর বাংলাদেশ যাতে ন্যায়বিচার মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতার হয় সে বিষয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার

প্রতিনিধির / ২০ বার
আপডেট : শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, আগামীর বাংলাদেশ ন্যায়বিচার মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা  হয় সেই যে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি ।রাজধানী সোনারগাঁও হোটেল সেন্টারে ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন ,আমরা এমন একটা সময় পার করছি যেখানে চ্যালেঞ্জ আর জটিলতা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য ,সামাজিক অবিচার কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি সবাই আমাদের সামনে একটি বড় বাধা ।তবুও বাংলাদেশ বারবার দেখিয়েছে কিভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে হয়।

আগত অতিথিদের নবগঠিত বাংলাদেশের স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা মাত্র ১০০ দিন আগে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছিলাম ।এটি ছিল ছাত্র জনতার একটি বিপ্লব যা গত ১৬ বছর ধরে শাসন করা একটি ফ্যাসিস্ট সরকার এর উৎখাত করেছিল। এর জন্য এক হাজার পাঁচশ শিক্ষার্থী শ্রমিক এবং সাধারণ প্রতিবাদকারীকে প্রাণ দিতে হয়েছে । আহত প্রায় ২০ হাজার ছাত্র জনতা ।এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে আসুন আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই যারা আমাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন যারা চিরদিনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দৃষ্টি শক্তি ও শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছেন এবং যারা এখনো জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ।

বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যখন ঢাকার রাস্তায় হাঁটবেন, তখন রাস্তাগুলোর দেয়ালে তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আঁকা রঙিন চিত্রকর্মগুলি দেখে মুগ্ধ হবেন। এই চিত্রকর্মগুলো দেখলে যে কেউ তরুণদের সৃজনশীলতার শক্তিতে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না। এখানে কোনো ডিজাইনার ছিল না, কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছিল না, এবং কেউ এর জন্য তহবিল দেয়নি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে। মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাই এ বছরের সংলাপের থিম ‘এক বিভক্ত পৃথিবী’। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি সমস্যার সমাধান রয়েছে, যদি আমরা ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাই।

ড. ইউনূস বলেন, ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেক জনসংখ্যার বয়স ২৭ বছরের কম। কত বড় শক্তি। তাদের এই সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অনেক শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব। আমাদের তরুণদের শক্তি আছে বিশ্বকে টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার, আমাদের পরিবেশ রক্ষা করার। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন সহযোগিতা, সাহস এবং নিজেদের মধ্যে শেয়ার করার মানসিকতা ও অটুট বিশ্বাস। আমাদের তরুণরা আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে নিয়ে গেছে। আসুন একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করি, একে অপরের কথা শুনি এবং পরিবেশগতভাবে নিরাপদ গ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারাসহ একটি নতুন বিশ্ব কল্পনা করার সাহস করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Categories