দগ্ধদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, খলিলের ৯৫ শতাংশ শতাংশ ছাড়াও আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ, মোহাম্মদের ৩৫, রুমার ২০, ইসমাইলের ২০, স্বপ্নার ১৪ ও শাহজাহানের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন- রং মিস্ত্রী আব্দুল খলিল (৪০), তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদরাসাছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। এছাড়া বিস্ফোরণে আব্দুল খলিলের পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিনও (২২) দগ্ধ হয়েছেন। তারা দু’জনই গার্মেন্টস কর্মী বলে জানা গেছে।
রাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে মিরপুর-১১ এর এভিনিউ-৫, সি-ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
ওখানকার এক প্রতিবেশী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাংলাবাজার গ্রামে। ৩ ছেলেসহ তার চাচা-চাচি মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। এছাড়া তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকতেন শাহজাহান ও স্বপ্না দম্পতি। ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।এতে সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
দগ্ধ শাহজাহান জানিয়েছেন, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রোববার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। পরে ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। পরে নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন।