চতুর্থ দিনের শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের ভালোভাবেই। ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অধিনায়ক মিরাজ। কন্ডিশনের সুবিধা নিতে এই সিদ্ধান্ত নেন মিরাজ এবং তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। তাসকিনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৪ রান।
এই টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে রেকর্ড রান চেক করতে হবে। এমন সমীকরণে আবারো তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। উইকেটে টিকে থাকা যেখানে চ্যালেঞ্জ ছিল সেখানে ব্যাটারদের মধ্যে নূন্যতম টিকে থাকার চেষ্টা টুকুও দেখা যায়নি। ব্যাটারদের কান্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে আবারো টেস্ট হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩১ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৯ রান। শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২২৫ রান উইন্ডিজের দরকার মাত্র তিন উইকেট।
৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। কেমার রোচের বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান। আর দলীয় ৭ রানের সময় ব্যক্তিগত ৬ রানে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো পারফরম্যান্স না দেখানোর পরও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া শাহাদাৎ দীপুও দলের জন্য কোনো অবদান রাখতে পারেনি। উল্টো দলীয় ২০ রানের সময় আউট হয়ে দলকে আরও চাপে ফেলে যান। সেই চাপ সামলাতে পারেননি অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও। ১১ রান করে দলীয় ২৩ রানে বিদায় নেন তিনিও।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ভরসা দিচ্ছিলেন অধিনায়ক মিরাজ ও লিটন দাস। দুজন শুরুটাও করেছিলেন ভালোই। তবে লিটন দাসের বিলাসী এক শটে ভাঙে সেই জুটিও। তার বিদায়ে দলীয় ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ঘোর বিপদে টিম বাংলাদেশ। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরেছেন মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এ পর্যন্ত দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংসটি খেলেন মিরাজ।