যারা রাজধানীর রাস্তায় অহরহ হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছেন,তারা আসলে কতটা আসলে কতটা সচেতন। নিজের ক্ষতি তো করছেনই; হর্ণে অতিষ্ঠ মানুষের ক্ষতির বিষয়েই বা তাদের ভাষ্য কী?
সড়ক ব্যবহার করা লোকজনের মধ্যে কারো যেন এতটুকু সময় নেই ধৈর্য ধরে চলার। রাজধানী জুড়ে কারণে অকারণে হর্ন বাজানো এখন নিত্য দিনের ঘটনা হয়েই দাঁড়িয়েছে। তবে চালকদের অবশ্য আছে নানা যুক্তি। যত্রতত্র রাস্তা পারাপার আর ট্রাফিক অব্যবস্থাপনাকে দুষলেন তারা।
একজন বাস চালক জানান, ঠেকায় পইড়া বাজাই। অনেকটা পরিস্থিতির শিকার। মানুষজন রাস্তার সামনে এসে দাড়িয়ে থাকে। এছাড়াও রিকসা রাস্তা থেকে নড়তে চায় না। তাই, অনেকটা বাধ্য হয়ে হর্ন বাজাতে হয়।
অনেকেই জানেন শব্দদূষণে নিজেরও ক্ষতি হচ্ছে। তবু কখনো অকারণে, কখনো স্বভাবজাত ভাবে চালকরা হর্ণ দিয়েই যাচ্ছেন। যারা ভুক্তভোগী তারা নিরুপায়। যেন অনেকটা অজান্তেই মেনে নিয়েছেন যে এই নগরে এভাবেই চলতে হবে।বিকট আর অনবরত হর্নের শব্দদূষণে শ্রবণশক্তি লোপ’সহ নানাবিধ সমস্যায় পড়ছে মানুষ। শব্দদূষণকারী আর দূষণের শিকার সবাইই চান প্রতিকার। নগরে বসবাসকারী সবাইকে হতে হবে ধৈর্যশীল আর অন্যের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন।