বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী স্পীডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের লাস উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ৩ জনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এর সদস্যরা। মরদেহ উদ্ধার হওয়া তিনজন হলেন- স্পিডবোটচালক আল আমিন (২৩), যাত্রী ইমরান হোসেন ইমন (২৯) ও রাসেল আমিন (২৪)। এনিয়ে এই দুর্ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌপুলিশ জানায়, রবিবার সকাল থেকে একে একে দুর্ঘটনাস্থল কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট সংলগ্ন নদীতে তিনটি লাশ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে। এখনো একজন যাত্রীর নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ সজল দাস (৩০) নামের ওই যাত্রী বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানার রহমতপুর এলাকার দুলাল দাসের ছেলে। তিনি ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে চাকরি করতেন।
গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোলা থেকে বরিশাল আসার সময় জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে স্পিডবোটের এক যাত্রী মারা যান। এ সময় এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় স্পিডবোটের চালক ও কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানায় নৌপুলিশ। তবে নিখোঁজদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না।