দুই দেশের সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণে সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্ব -সরকারপ্রধান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার শুরু থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরকারই চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে। বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে জাতিসংঘেও সদস্য দেশের প্রতিনিধিত্ব করে সেই দেশের সরকারের কর্তাব্যক্তি, জনগণ নয়। তবে সংকট তৈরি হয় যদি সরকারের এজেন্ডায় জনগণ ও বিরোধীদলের চাওয়া-পাওয়া উপেক্ষিত হয়। এদিকে, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের নাগরিকদের সম্পর্ক ব্যক্তিপর্যায়ে খুবই ভালো। তবে বারবারই ক্ষমতাসীন (সরকার) এবং দলগুলোর উসকানি এবং রাজনৈতিক স্বার্থে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের দীর্ঘ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভিত গড়ে উঠেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে। সেই সময় তখনকার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমানের অনবদ্য ভূমিকা ছিল। চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাণিজ্যযুদ্ধের হাকডাক থাকলেও বাইডেন প্রশাসনের সময়ে বেশ কিছু ইতিবাচক কর্মকাণ্ড সেই বৈরিতা নিরসনে সফল হয়। জনগণ বা বিরোধী দলের মতামত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে বিশ্বব্যাপী জনগণের প্রতিবাদ এবং সমর্থনের ভূমিকা রয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সেখানে মার্কিন সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে নিজ ভূখণ্ডে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এদিকে, দুই দেশের সম্পর্কে গুরুত্বর্পূণ চলক হিসেবে কাজ করে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ।