বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনে তাকে সাপোর্ট দেয়া হয়। তবে সেখান থেকে আর তিনি ফিরলেন না। বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্বামী সারোয়ার আলম। প্রয়াতের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। কাল জুম্মার পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
জানা গেছে, তিনি কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। চার দিন ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এর আগে কয়েক দিন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না, চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এই শিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। বড় মেয়ে জারা সারোয়ার কলেজ অব নিউ জার্সিতে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নির্বাহী।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান। আর এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।