চাঁদপুরের মেঘনা নদীর হাইমচর উপজেলার ইশানবালা এলাকায় এমভি আল-বাখেরা নামে সারবাহী একটি জাহাজে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ চালিয়ে ৭ জনকে গলাকেটে ও মাথা থেতলে হত্যা করেছে। জাহাজে থাকা ৮ জনের মাঝে বেঁচে যাওয়া একজন সুকানি জুয়েল রানা (২৮)। তাকে জাহাজ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলে সেখানে থাকা নৌপুলিশকে তিনি কিছু একটা লিখে বলার চেষ্টা করছিলেন। কারণ তার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় তিনি কিছু বলতে পারছিলেন না।
তবে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় লেখা শেষের আগেই বেঁচে ফেরা জুয়েলকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ইকবাল বলেন, আমরা আহত জুয়েলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি; কিন্তু তিনি কথা বলতে পারেননি। শুধু একটি কাগজে তার নাম আর একটি মুঠোফোন নম্বর দিয়ে যান। আর শেষ দিকে “আমি স” লেখার পর অ্যাম্বুলেন্সটি চাঁদপুর থেকে চলে যায়। আমাদের ধারণা, জুয়েল হয়তো কিছু একটা জানেন বলে বলার চেষ্টা করেছেন। তবে এখনও কোনো তথ্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আহত জুয়েল রানাকে রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাকে নাক, কান ও গলা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেকের মেডিকেল অফিসার সিরাজ সালেক বলেন, জুয়েল রানার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় সেখানে একটি টিউব যুক্ত করা হয়েছে। তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
জুয়েল রানার ভাই সেকেন খালাসী বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। জুয়েল চার বছর ধরে ওই জাহাজে সুকানির কাজ করছিলেন।