খুলনা ঢাকা রুটে মঙ্গলবার ভোর থেকে চালু হয়েছে নতুন ট্রেন জাহানাবাদ এক্সপ্রেস। পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রুটের সময় লাগছে মাত্র ৪ ঘন্টা। দূরত্ব যাতায়াতের সময় ও ভাড়া কম হয় রেলওয়ের এই উদ্যোগে খুশি যাত্রীরা। খুলনা থেকে অন্য তিনটি ট্রেনে অন্য রুটে ঢাকায় যেতে সময় লাগে ৭ থেকে ১০ ঘন্টা।
এদিকে শীতকালে নতুন ট্রেনের সময়সূচী ছটার পরিবর্তে সাতটায় করার দাবি যাত্রীদের। খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে জানা যায় মঙ্গলবার ভোর ছটায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় জাহানাবাদ এক্সপ্রেস।ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছায় সকাল ৯ঃ৪৫ মিনিটে। এটি আবার রাত আটটায় ঢাকা থেকে ছেড়ে ১১:৪০ মিনিটে খুলনায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রথম দিন খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুলনা থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় যান। তবে খুলনা প্রান্তে ছিল না কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
প্রথম দিনের যাত্রী লিয়াকত হোসেন বলেন, নতুন রুটে দূরত্ব কমে যাওয়ায় এখন যাতায়াতে সময় কম লাগবে। এ ছাড়া ভাড়াও কম লাগবে। এতে আমরা খুশী।
তবে আরেক যাত্রী হামিদ শেখ বলেন, শীতকালে ট্রেন ছাড়ার সময়সূচি ভোর ৬টার পরিবর্তে ৭টায় করলে ভালো হয়। কারণ শীতকালে ভোর ৬টায় অন্ধকার থাকে। ট্রেনে যাওয়ার জন্য আমি ভোর সোয়া ৫টায় বাসা থেকে বের হই। এরপর স্টেশনে আসার জন্য রিকশা পেতে অনেক সময় লেগেছে। এ ছাড়া ছিনতাইকারীর কবলে পড়ি কিনা সেই আতঙ্কের মধ্য দিয়ে এসেছি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, বিদেশ থেকে ট্রেনের নতুন ইঞ্জিন ও বগি আনা হচ্ছে। ৬ মাস পর এই রুটে নতুন আরও ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
সোমবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন ট্রেনটি চলাচল করবে। ট্রেনটি যাওয়া-আসার পথে যশোরের নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে।