অন্তর্বর্তী সরকারের নানা উদ্যোগেও বছরজুড়েই বেসামাল ছিল নিত্যপণ্যের দাম। এতে রীতিমতো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতাদের। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, দাম নিয়ন্ত্রণে আগের সরকারের ভুল নীতি আর বাজার ব্যবস্থাপনা ও সিন্ডিকেট দমনে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার বলি হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বছরের শুরুতে চড়া মূল্য দিয়ে চাল কিনতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে আলু, পেঁয়াজ, ব্রয়লার মুরগি ও সবজির দাম। এরপর ভোগান্তির মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়েছে ভোজ্যতেলের কারসাজি। সবমিলিয়ে বছরজুড়েই দুই অঙ্কের ঘরে ছিল সার্বিক মূল্যস্ফীতি। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ে রেকর্ড ১৪ শতাংশেরও বেশি ছিল খাদ্যের সূচক।
অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতাদের আয় না বাড়লেও ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম। ডিমের সঙ্গে ডাল-ভাতও যেন এখন স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষদের।
অন্যদিকে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার ছিল মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা। তবে চাঁদাবাজ-সিন্ডিকেট দমন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় দুর্বলতার কারণে সেই লাগাম টানতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।