শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন

ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে বিগত সরকার গুম খুন চালিয়েছে

প্রতিনিধির / ২৭ বার
আপডেট : সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহের দিকে তাকালে দেখা যায় রাজপথের রাজনৈতিক আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতেই ঘটে থাকে বেশিরভাগ গুমের ঘটনা। সংবিধান রক্ষার অজুহাতে ২০১৪ সালে একপাক্ষিক নির্বাচনে জিতলেও স্বস্তি ছিল না দেড় দশক মসনদে বসে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত হওয়া আওয়ামী লীগে। সেসময় বলা হয়েছিল দ্রুত আরেকটি নির্বাচনের কথা। তবে ওই দাবি ভুলে পরের দফা ক্ষমতা নিশ্চিতে ২০১৬-১৮ সালে ঘটানো হয় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গুমের ঘটনা। এমনকি নির্মাণ করা হয় গোপন বন্দিশালাও। গুম কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের সুত্র ধরে একটি বন্দিশালার খোঁজ পেয়েছে যমুনা টেলিভিশন। তুলে নিয়ে নিখোঁজ করে দেয়ার ঘটনায় মিলেছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের যোগসাজসের অভিযোগ।

এক দশক আগের ঘটনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছিল রাজপথে। ভোটের আগেই দেড়শ’র বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ক্ষমতা নিশ্চিত করে আগেরবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী আওয়ামী লীগ। তীব্র ক্ষোভ থেকে কঠোর আন্দোলনে নামে বিরোধীরা। পরের বছরগুলোতে বেড়ে যায় আটকের পর নিখোঁজের ঘটনা। সেগুলোর সাক্ষ্য হিসেবে রয়েছে আর্কাইভস ভবনে তখনকার পত্রিকাগুলো

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, যখন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেশে হলো না, তখন কেউ কেউ লেখালেখি শুরু করে। একইভাবে রাজনৈতিক সভা সমাবেশও ছোট-বড় পরিসরে হতে থাকে। রাজনৈতিক দলের কাছে যে ব্যক্তির কর্মকাণ্ডকে নিজেদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে বলে মনে করা হলো, তাদেরকেই মূলত গুমের প্রাথমিক পরিকল্পনায় নিয়ে আসা হয়। এর বাইরে সিভিল সোসাইটির অনেক ব্যক্তিও এই গুমের শিকার হন তাদের অনলাইন-অফলাইন লেখালেখি ও বক্তব্যের কারণে- বলে মনে করেন তিনি।

তার মতে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরোক্ষ অংশগ্রহণ ছিলো গুমকাণ্ডে। এই কাজের পারফরম্যান্সের স্কেল অনু্যায়ী একটি সুবিধাও পেতেন তারা। সেইসাথে ভারতীয় অনেক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও এই কাজে জড়িত বলে মনে করেন ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক।

শেখ হাসিনার আমলে তৈরি করা গুমের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক বন্দিশালা গুড়িয়ে ফেলা হলেও এখনও কিছু অবশিষ্ট রয়েছে। বিভিন্ন সুত্র বলছে, এরকমই এক বন্দিশালায় যাওয়া-আসা ছিল বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ