শিরোনাম:
চাঁদপুরে নিজ বাড়ির ছাদ থেকে আলমগীর হোসেন নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন প্রকল্পে জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ হচ্ছে রেমিটেন্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন এক করদাতা ট্রাম্প-পুতিন খুব শীঘ্রই ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ বন্দে কথা বলবেন ফুরফুরা শরীফের ইফতারে মমতা লালমনিরহাট সীমান্তে আবারো কাঁটাতার বেড়া দেয়ার চেষ্টা করেছে বিএসএফ বাধা দিয়েছে বিজিবি ঈদ উপলক্ষে যান চলাচলে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি মাদারীপুরের এক ইউপি চেয়ারম্যান কে মানব পাচার মামলার অপরাধে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব কুমিল্লায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ জন গ্রেফতার
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন

গাজায় তীব্র ঠান্ডায় মারা যাচ্ছে শিশুরা

প্রতিনিধির / ১০৯ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

চলছে হামাস ইসরাইলের যুদ্ধ। শিলার বয়স তিন সপ্তাহেরও কম। গাঁজায় এখন প্রচুর শীত। ঠান্ডার তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য নেই পর্যাপ্ত কাঁথা ও কম্বল। একদিন সকালে সিলার মা নরিমান আল-নজমে লক্ষ্য করেন তার মেয়ে কোন প্রকার নড়াচড়া করছে না। পরীক্ষা করার জন্য মা লরিমান মেয়ের মুখ খুললেন এবং দেখতে পেলেন শিশুর মুখ নীল হয়ে গেছে। সেই সাথে জিপ কামড়াচ্ছে ও মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। সব চেষ্টা করো শিশুকে বাঁচাতে পারলেন না।

দক্ষিণ গাজার সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত তাঁবুতে নরিমান তার স্বামী মাহমুদ ফাসিহ এবং তাদের দুই ছোট বাচ্চা-রায়ান, যার বয়স চার বছর এবং নিহাদ- যার আড়াই বছর। পরিবার বলছে যে বিগত ১৪ মাসের যুদ্ধে তারা ১০ বারের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

“আমার স্বামী একজন জেলে। আমরা উত্তর গাজা থেকে এসেছি এবং ভয়ে সাথে কিছুই না নিয়ে চলে এসেছি। কারণ- ইসরায়েলি বাহিনী থেকে আমাদের বাচ্চাদের জন্য রক্ষা করতে হবে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে,” নরিমান আল-নাজমেহ বলেন।

“যখন আমি গর্ভবতী ছিলাম, আমি ভাবতাম কীভাবে আমি বাচ্চার জন্য কাপড় আনব। আমি সত্যিই চিন্তিত ছিলাম কারণ আমার স্বামীর কাজ নেই। সে একজন জেলে। মাছ ধরাই তার পেশা। তবে যুদ্ধের কারণে এখন সব বন্ধ। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড় আমাদের কাছে নেই। আমার সিলা ঠাণ্ডার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে আল্লাহ’র কাছে চলে গিয়েছে,’ জানান সিলার মা।

সিলার ২০ দিনের ছোট্ট জীবনে সহ্য করতে হয়েছে সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ। সিলার বাড়িটি ছিল আল-মাওয়াসি এলাকাতে। সেখানে ক্যাম্পগুলোতে হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এলাকাটির দুর্বল অবকাঠামো এবং স্যানিটেশনের সমস্যার পাশাপাশি ভূমধ্যসাগরের বৃষ্টি এবং ঢেউ উভয়ের কারণে বন্যার কারণে ভুগছে হাজারো ফিলিস্তিনি। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ এখন শীতের তীব্রতা। আর এই শীত যেন অসহনীয় হয়ে পড়েছে গাজার শিশুদের জন্য।

সিলার বাবা মাহমুদ বলেন, “ঠান্ডা তিক্ত এবং কঠোর। সারা রাত, ঠান্ডার কারণে, আমরা পরিবারের সবাই একসাথে আড্ডা দিই, একে অপরের পাশে কুঁকড়ে থাকি,” বলেছেন সিলার বাবা মাহমুদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ