শিরোনাম:
ইরানের সুপ্রিম কোর্টে দুই বিচারপতিকে গুলি করে হত্যা ফরিদপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে ৫০ জন আহত রিমান্ড শেষে কারাগারে ছাগল কাণ্ডে আলোচিত মতিউর প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের স্পিন তাণ্ডবে ১৩৭ রানের গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওষুধের উপর থেকে ভ্যাট কমাতে সুপারিশ করা হয়েছে এমনটাই বলেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মুন্সীগঞ্জে অতিরিক্ত সচিবের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় সাতজন গ্রেফতার হবিগঞ্জে সাড়ে সাত কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি বান্দরবানে ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে তিনজন নিহত ২০ বছরে চুক্তির মাধ্যমে সামরিক নিরাপত্তা আরো জোরদার করছে ইরান ও রাশিয়া উপদেষ্টাদের সংস্কারের অধিকার কে দিয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা নিয়ে সুপারিশ চলছে

প্রতিনিধির / ৩৪ বার
আপডেট : বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫

জোরেসোরে কথা হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা নিয়ে। বলা হচ্ছে, ক্ষমতার এক কেন্দিকরণ এবং সংসদ ব্যবহার করে জনস্বার্থ বিরোধী আইন প্রণয়নে দেয়ালের মতো কাজ করবে এই পদ্ধতি। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার সুপারিশ অনেকটা নিশ্চিত হলেও মডেল নিয়ে খোলাসা করেননি সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলিয়াজ।

অবশ্য এদেশের মানুষ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পথে পরিচিত নয়। ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বাড়তে থাকে এই আলোচনা। ২০২২ এর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বাস জাতীয় আইনসভার প্রায় 40 ভাগ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট মূলত অতিমাত্রায় ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ ও অপব্যবহার ঠেকানোয় এর উদ্দেশ্য।

বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে সংস্কার কমিশন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভাকে যৌক্তিক বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণে নিম্নকক্ষের চেকস অ্যান্ড ব্যালান্স হিসেবে কাজ করে উচ্চকক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ভারতের মডেলের বাইরে নতুন কিছুও সামনে আসতে পারে। তবে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল জনকল্যাণমূলক না হলে কোনও পদ্ধতিই কাজে আসে না।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বললেন, অন্যায় করে কিংবা জনস্বার্থ পরিপন্থী কোনও কাজ করে তারা যাতে আইন প্রণয়ন করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা এবং সবকিছু নির্ভর করবে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারলে। যদি আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সৎ, যোগ্য, জনকল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তি নির্বাচিত হয়ে আসার সুযোগ পায়।

দ্বিকক্ষ আইনসভার তিনটি মডেল জনপ্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যেক অঙ্গরাজ্য থেকে দু’জন করে সদস্য নিয়ে গঠন করা হয় উচ্চকক্ষ। যুক্তরাজ্যের বেলায় উচ্চকক্ষ গঠন হয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে। আর প্রতিবেশি ভারতের উচ্চকক্ষের সদস্যরা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভা, বিধান পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন মডেল বেশি উপযোগী হতে পারে বাংলাদেশের জন্য?

আলী রীয়াজ বললেন, বাংলাদেশে যদি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালু হয়, তাহলে সেখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাটা প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার জায়গাটাও যাতে তাতে প্রতিফলিত হয়। দুই পক্ষের ক্ষেত্রে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব তৈরি করা যায় কি না, তিনটা মডেলের যে কথা বলা হচ্ছে কোথাও কিন্তু সেটা নেই। ফলে এটাও একটা বিবেচনার বিষয়। ফলে ওই অর্থে আমাদের সামনে চারটা মডেল আছে। আমরা সবগুলো বিবেচনা করে দেখছি। তার কিছু ইতিবাচক দিক আছে, কিছু নেতিবাচক দিক আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ