শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

ছত্রিশগড়ে সাংবাদিককে মেরে সেপটিক ট্যাংকে পুঁতে রেখেছে দুর্বৃত্তরা

প্রতিনিধির / ৩২ বার
আপডেট : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫

ভারতের ছত্রিশগড়ে সাংবাদিককে মেরে সেপটিক ট্যাংকে পুঁতে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। সাহসী সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করে আলোচনাতে এসেছিলেন তিনি। প্রভাবশালীদের দুর্নীতির খবর প্রকাশই কি কাল হলো সাংবাদিক মুকেশের! যে কারণে হয়তো নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হতে হলো তাকে। মুকেশের মরদেহ পাওয়া গেছে একটি সেপটিক ট্যাংকে।

৩২ বছর বয়সী মুকেশ বছরের ১ম দিনেই নিখোঁজ ছিলেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা থানায় মামলা করে। এর ২ দিন পর শুক্রবার বিজাপুর এলাকায় এক রাস্তা নির্মাণ ঠিকাদার কম্পউন্ডা তে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ তার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে মরদেহ উদ্ধার করে।তার মৃত্যুর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে তার দুই আত্মীয়ও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ছত্তিশগড় পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসি জানিয়েছেন, ৩ জানুয়ারি তারা সড়কের পাশে একটি ব্যাডমিন্টন কোর্টের কাছে নতুন মেঝেযুক্ত সেপটিক ট্যাংকে মুকেশের মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। তিনি বলেন, ট্যাংকের ওপরে কংক্রিটের স্ল্যাব স্থাপন করা হয়েছিল। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে।

সম্প্রতি ১২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে দুর্নীতির খবর ফাঁস করেছিলেন মুকেশ চন্দ্রকর। প্রশ্ন উঠেছে, এই তথ্য সামনে আনার জন্যই কি খুন হতে হয়েছে তাকে? ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খবর করেছিলেন মুকেশ। একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছিল ৫০ কোটি টাকার। কিন্তু, পরে সেই নির্মাণ খরচ ১২০ কোটি টাকায় পৌঁছে যায়। এর জেরে রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ