ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সংঘর্ষের সময় আল কুদাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাখা আল সাববাগের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। শাখা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের জেনিনের বাসিন্দা ছিলেন তিনি সাংবাদিকতার মাধ্যমে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।
শাথা বাড়ি থেকে বের হয়ে কাছাকাছি কোথাও যাওয়ার সময় পিএ বাহিনীর আক্রমণের শিকার হন এবং তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শাথা মারা যাওয়ার দিন বলেছিলেন, আজ আমরা সারারাত গল্প করব, আড্ডা দেবো আম্মা’। তিনি বলেন, হঠাতই মেয়ের মাথায় পরপর কয়েকটা গুলি এসে লাগে। যেন রক্তের সাগরে সে তলিয়ে যেতে শুরু করে। আমি চিৎকার করে গুলি বর্ষণকারীদের বলছিলাম, গুলি বন্ধ করুন। আমার মেয়ে মরে গেছে’।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘পিএ ছাড়া এ দায় আর কারও না, কারণ পিএ সদস্যরাই ছিল তখন। বাইরে থেকে কেউ আসতে বা যেতে পারবে না।’
এদিকে পিএ ‘সন্ত্রাসীদের’ ওপর এ হত্যাকাণ্ডের দায় চাপিয়েছে। পিএ সাধারণত জেনিন ব্যাটালিয়নের সদস্যদের বোঝাতে ‘সন্ত্রাসী’ শব্দ ব্যবহার করে। প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারাও পশ্চিম তীরে জেনিন ব্যাটালিয়নের অংশ।