উচ্চ সুদ হার, জ্বালানি সংকট আর গ্যাস বিদ্যুতের মূল্য আবারও বৃদ্ধির খবরে ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চাইছেন এক্সিট পলিসি। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন এর নতুন নিয়ম চালু হলে বন্ধ হয়ে যাবে অনেক প্রতিষ্ঠান। তার উপর নতুন করে শ্রমিকের বেতন ভাতা বৃদ্ধিকে ব্যবসার অন্তরা হিসেবে দেখছেন তারা।
ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, এলসি জটিলতা, ডলারের চড়া দামে এমনিতেই নাজেহাল ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে তিন বছরে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। রয়েছে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটও। সবমিলিয়ে এখনো বিনিয়োগবান্ধব হতে পারেনি বাংলাদেশ।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সংগঠনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সাথে। সেখানে তারা দাবি জানান, দেউলিয়া আইন পরিবর্তনের। চান এক্সিট পলিসি বা ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার নীতি।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির দায় শুধু ব্যবসায়ীদেরই নয়। দায় এড়াতে পারে না বাংলাদেশ ব্যাংকও। তাছাড়া নগদ প্রণোদনা না পেলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
এসময় এলসি জটিলতা দূর করা এবং সুদের হার কমানোর দাবি করেন বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন। আর ব্যাংক সংস্কার কমিটিতে ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায় বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।