সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে অবস্থানে পৌঁছেছে। সরকারি বৈঠক থেকে সীমান্ত সব জায়গায় শীতল সম্পর্ক। এর মধ্যে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের অপপ্রচারের কারণে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের মিডিয়া ‘এবিপি আনন্দ’ বাংলাদেশকে নিয়ে বেশকিছু ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়েছে। যা নিয়ে গণমাধ্যমটির প্রতি বাংলাদেশি পাঠকদের একপ্রকার নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কল্পকাহিনী ও মিথ্যা তথ্য বেশ হাসির খোরকও জুগিয়েছে। এবার তেমনই মিথ্যা ও কল্পকাহিনী নির্ভর সংবাদ প্রকাশ করলো এবিপি আনন্দ।
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা হয়নি লিটন দাসের। জাতীয় দলে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে তার একেবারেই বাজে সময় যাচ্ছে। ফলে অবধারিতভাবেই দলে জায়গা হারিয়েছেন এই ওপেনার। বিষয়টিতে সংখ্যালঘু ট্যাগ খোঁজার চেষ্টা করেছে ভারতের মিডিয়াটি।
মিডিয়াটি প্রচার করেছে হিন্দু হওয়ায় নাকি দলে জায়গা পাইনে লিটন দাস। এবিপি গতকাল রবিবার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারে উত্তাল দেশ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশ দল থেকে বাদ লিটন। শিরোনাম দিয়ে এমন একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে তারা বলে, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে ১৩টি ইনিংসে একটি অর্ধশতরানও হাঁকাতে পারেননি লিটন। শেষ সাত ইনিংসের মধ্যে ছয়বার তো তিনি দুই অঙ্কের রান অবধি করতে পারেননি। তাই লিটনের বাদ হওয়া খুব একটা আশ্চর্যজনক নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে অনেকে আবার এর মধ্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ওপার বাংলায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ছবি বারংবার ধরা পড়েছে। লিটন দাসের বাদ পড়ার পর অনেকে দুইটি বিষয়কে এক সূত্রে গেঁথে ফেলেছেন।