বিল খননের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মোড়ল গোষ্ঠী ও ইউপি সদস্য আব্দুল গণির বিরুদ্ধে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নেত্রকোনার পূর্বধলায় একাধিকখাল ও বিল খনন চলমান থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাস জমিতে চাষাবাদ করায় খনন কাজে বাধা সৃষ্টি করে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এমন অভিযোগ করেছে ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। যদিও মৎস্য ও কৃষির উন্নয়নে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে সেচ সুবিধায় দলিপুরী বিলটি পুনঃখনন চাইছেন অধিকাংশ গ্রামবাসী।
জানা গেছে, মৎস্য ও কৃষির সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশব্যাপী খাল বিল পুনঃখনন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় পূর্বধলা উপজেলায় একাধিক খাল বিল খনন কাজ চলমান রয়েছে। যা আগামী বছর আগেই শেষ হওয়ার কথা। গুডম্যান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খনন কাজ পরিচালনা করছে।
এ নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে স্থানীয় দেবকান্দা, চোরের ভিটা, ঘাগরা কান্দাসহ বেশকটি গ্রামের অন্তত কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে। অধিকাংশ জেলে ও কৃষকদের দাবি বিলটি পুনঃউদ্ধার করে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে সেচ ব্যবস্থা সহজ করনে দ্রুত খনন করা।
স্থানীয় ঘাগড়াকান্দা গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন, দেবকান্দা গ্রামের ইসব আলীসহ একাধিক কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিলটির চারপাশ দখল করে জমি চাষাবাদ করছেন চোরের ভিটা গ্রামের গনি মেম্বার ও মোড়ল গোষ্টির আব্দুর রাশিদসহ অনেকেই। তারাই বিলটি খননে বাধা দিচ্ছে।
তবে আব্দুর রশিদ ও গনি মেম্বারসহ দখলদাররা জানান, গ্রামের পাশে থাকা কংশ নদী ভাঙ্গনে তাদের জমি নষ্ট হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিলের খাস ভূমিতেই চাষাবাদ করছেন তারা। তাই খনন কাজে বাধা দিচ্ছেন।