গত বছর সৌদিতে হজ করতে গিয়ে ১ হাজার ৩০০ মুসল্লির মৃত্যুর ঘটনায় চরম তাপদাহের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাকে ফের সামনে তুলে এনেছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই সমস্যা সমাধানে প্রথম ধাপ হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে ভিড় ব্যবস্থাপনা করা। গত জুন পবিত্র মক্কা নগরীতে তাপমাত্রার পারদ ৫১.৮ ডিগ্ৰী সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। সেই সময় ১৮ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এই হজ পালনের জন্যে সৌদিতে অবস্থান করছিলেন।
সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, রেকর্ড ১ হাজার ৩০১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দেখা গেছে এর ৮৩ শতাংশই হজের অনুমতি ছাড়াই অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা হজযাত্রীদের জন্য বরাদ্দকৃত সুযোগ-সুবিধা, যেমন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবু ব্যবহার করতে পারেননি।
রিয়াদ এখনও এই বছরের হজের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেনি, যা এখনো পাঁচ মাস দূরে রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ সম্ভবত সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে চাইবে।
দেশটির কিং আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের আবদেরেজাক বউচামা জানিয়েছেন, ‘আমি মনে করি তারা অবৈধ হজযাত্রীদের ঝুঁকি কমানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দেবে।’
বউচামা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সৌদি সরকারের সঙ্গে তাপজনিত মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি তারা অতীত থেকে শিক্ষা পেয়েছে, তাই আমাদের দেখতে হবে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।’
তাপদাহের ঝুঁকি কমানোর অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে তাপজনিত চাপ দ্রুত শনাক্ত করতে পরিধানযোগ্য সেন্সর চালু করা। এছাড়া রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, যা সম্ভবত জুনের মধ্যে কার্যকর হবে না। তবে সৌদি কর্মকর্তারা এএফপির অনুরোধের জবাব দেননি।