চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশী কৃষকদের আমগাছ কাটা কে কেন্দ্র করে আবারো উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের হামলায় অন্তত ৫ বাংলাদেশী নাগরিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।বিএসএফের হাতে বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।
দিনভর উত্তেজনার মধ্যে বিজিবির দক্ষতায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো গেলেও কিরণগঞ্জ সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও থমথমে।পতাকা বৈঠকে বিএসএফ ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করার পর সীমান্ত এলাকা থেকে দূরে সরে যায় বাংলাদেশি নাগরিকরা।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিক থেকে কিরণগঞ্জ সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৭৭ এর সাব পিলার ৩/৪এস পিলারের কাছে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, গম কাটার অভিযোগে নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশের ভুখণ্ডে আম ও পেয়ারা গাছ কাটা শুরু করে। একপর্যায়ে বাংলাদেশের বরই বাগান ধ্বংস করা শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশি কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় ভারতীয় নাগরিকরা হাঁসুয়া লঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশিদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাদের অস্ত্র ও পাথরের আঘাতে অন্তত ৫/৬জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় বিএসএফ হাত বোমা নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।
জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ব্যাটলিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দুইদেশের উভয় পাশে অতিরিক্ত জওয়ান অবস্থান নেয়।
কয়েক জন্য জানান, গত ৬ জানুয়ারি বিএসএফ এই ১৭৭ নম্বর আন্তর্জাতিক মেইন পিলারের ২-এস সাব পিলার এলাকায় নো-ম্যান্স ল্যান্ডের ১০০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এখন আবারও তারা সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বাংলাদেশিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ মহানন্দ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, চৌকা সীমান্তের পর পাশ্ববর্তী কিরণগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশের আম গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার ঘটনা ঘটে। ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশের কৃষকদের ফসল ও গাছ-পালা কেটে দেয়। এই নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করে।