গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূ মৌমিতা আক্তার লতা কে হত্যা করেছে স্বামী নূর মোহাম্মদ। এ মামলায় তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। সোমবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ এস এম নাসিম রেজা এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের সময় আদালতে আসামি নয়ন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের ৮ মাসের মাথায় গৃহবধূ মৌমিতাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী নয়ন।
নুর মোহাম্মদ ওরফে নয়ন (২৯) সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পুর্ব সোনারায় গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। মৌমিতা আক্তার লতার (২৩) বাড়ি পার্শ্ববর্তী চাচীয়া মীরগঞ্জ গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদার রহমান মাসুদ জানান, গৃহবধূ মৌমিতা হত্যা মামলায় আদালতে দীর্ঘ স্বাক্ষ্য-প্রমাণ ও বিচারকার্য শেষে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
মামলার বরাত দিয়ে জেলা জজ আদালতের (জিআর) শাখা উপ-পরির্দশক (এসআই) শুভ্র জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে নয়নের সঙ্গে বিয়ে হয় মৌমিতার। এরপর যৌতুকের জন্য মৌমিতাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন স্বামী নয়ন। একপর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নয়ন। পরে খবর পেয়ে মৌমিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।