মাদারীপুরের শিবচরে বৃদ্ধার বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত সোহাগ হালদার কে আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
গ্রেফতারকৃত সোহাগ শিবচর উপজেলার বৈকন্ঠপুর গ্রামের মোঃ মফিজ হাওলাদার এর ছেলে। আর নিহত ফজিলাতুন্নেছা একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী। শুক্রবার রাতে জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে নিজবাড়ি থেকে ছেলেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য পাশের ছোট কুতুবপুর বাজারে যায় ৭০ বছর বয়সী ফজিলাতুন্নেছা। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে স্বজনরা। নিখোঁজের ১০দিন পর ২২ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের হোগলার মাঠে পাতা আনতে গেলে একটি বস্তার মুখ রশি বাঁধা অবস্থায় দেখলে সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, নগদ টাকার প্রয়োজন হলে আগে থেকে ওত পেতে থাকে সোহাগ। এক পর্যায়ে বৃদ্ধার গলায় স্বর্ণের চেইন দেখে লোভ হয় তার। পরে তাৎক্ষণিক শ্বাসরোধ করে হত্যার পরে বস্তাবন্দি মরদেহ রশি দিয়ে বেঁধে বাগানে ফেলে দেয়।