ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া যেজু ইয়ারের বোরিং ৭৩৭/৮০০ মডেলের বিমানের দুই ইঞ্জিনে হাঁসের ডিএনএ পাওয়া গেছে। সোমবার প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদনে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন উভয় ইঞ্জিনের শীতকালীন পরিযায়ী হাঁসের নমুনা মিলেছে। তবে এটি দুর্ঘটনার মূল কারণ কিনা সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে নি।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধাক্কার পর উভয় ইঞ্জিন মাটির নিচে ঢুকে যায় এবং প্লেনের সামনের অংশ ৩০০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বিমানের ধাক্কা লাগা বাঁধটি রানওয়ের নেভিগেশন সিস্টেমের অংশ ছিল, যা দুর্ঘটনাকে আরও প্রাণঘাতী করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মূলত গত ২৯ ডিসেম্বর, ব্যাংকক থেকে আসা ফ্লাইটটি দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় রানওয়ে অতিক্রম করে মাটির বাঁধে ধাক্কা খায়। এতে প্লেনটি আগুন ধরে যায় ও আংশিক বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিমানের ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র দুইজন বেঁচে ছিলেন, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হয়।