মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর কাজীপাড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে এক নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর রবিবার রাতে ১০-১২ জন মিলে ধর্ষণ করে বলে কাফরুল থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভবনটিতে বাইরে থেকে জিম ও শপিং সেন্টার দেখা গেলেও ভেতরে মেলে কয়েকটি গোপন কক্ষের সন্ধান। সেখানকার কেয়ারটেকারের দাবি স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলতো অনৈতিক কাজ।
ভবনটির চারতলায় আছে একটি জিম। সেটির মালিকের দাবি, হোটেলটিতে চলে অবৈধ ও অসামাজিক কার্যকলাপ। পুলিশ জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না অভিযোগ তার। এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করলেও কথা বলতে নারাজ মিরপুর জোনের এসি মাহমুদুল হোসাইন।
ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়ার ভিসা দেয়ার নাম করে ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় এক লাখ টাকা নেন সাগর নামে একজন৷ দীর্ঘদিনেও ভিসার ব্যবস্থা না করায় মনোমালিন্য হয় তাদের মধ্যে। এ অবস্থায় টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানা শুরু করেন সাগর। পরে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শেওরাপাড়ায় একটি ভবনে ডেকে আনা হয় ভুক্তভোগী নারীকে। সেখানে তাকে আটকে রেখে করা হয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ।