শিরোনাম:
সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের কিছু পরিবারে শোক

প্রতিনিধির / ২৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ছোট বেলায় মা-বাবা হারায় রফিকুল। এরপর থেকে চাচার কাছে বড় হয়। তাই চাচার পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন নিয়ে নিজের ভিটে-বাড়ি সব বিক্রি করে দালালদের হাতে ২০ লাখ টাকা তুলে দিয়েছিল। কিন্তু ইতালিতে যাওয়ার আগেই লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে স্বপ্নের সমাধি ঘটলো রফিকুলের।

একই অবস্থা আরাফসান ইসলাম আশিকের। ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য লোন করে ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৭ লাখ টাকা দেন পাশের শ্রীজিতপুর গ্রামের রকমান হাওলাদারের ছেলে বাবু হাওলাদারকে। লিবিয়া যাওয়ার পর তিন থেকে চার বার কথা হয়। এরপর থেকে আর খোঁজ ছিলো না আশিকের।

সাত্তার খন্দকারের স্ত্রী লাবনী খন্দকার জানান লিবিয়া পৌঁছানোর পর আমার কাছ থেকে তিন দফা টাকা নিয়েছে। ২৪ লাখ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও নিয়েছে ২৬ লাখ। আমি দ্রুত মরদেহ ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি দালালদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই ও তাদের শাস্তি আওতায় আনার দাবি জানাই।

নিহতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার রাঘোদী ইউনিয়নের চরপ্রসন্নদি গ্রামের ওয়াহাব খন্দকারের ছেলে সাত্তার খন্দকার বয়স ৪০ একই গ্রামের মেহেদী শেখের ছেলে আরাফসান ইসলাম আসিক বয়স ১৮ ও মোল্লাদি গ্রামের আবিষেকের ছেলে রফিকুল সেখ বয়স ২৫।

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির পর লিবিয়ার ব্রেগা উপকূল থেকে এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবাই বাংলাদেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ