শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এক পর্যায়ে মিলেমিশে একাকার হয় ছাত্র-জনতা। রিক্সা চালক, দিনমজুর, শ্রমিক, শিক্ষক, আইনজীবী, প্রবাসী, এমন কি বেকার সবাই নেমে ছিলেন রাস্তায়। সোচ্চার হয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। জনতার পক্ষে দাঁড়ান সেনা সদস্যরা। মাঠে নামেন সাবেক কর্মকর্তারা। আর আওয়ামী লীগের শাসনামল জুড়ে নির্যাতনের শিকার রাজনৈতিক দলগুলো হয়ে উঠেছিল আন্দোলনের অভিজ্ঞ ঢাল।
রিকশার পাটাতনে ঝুলে আছে, মাথায় পতাকা বাধা তরুণ। কলেজ ছাত্র গোলাম নাফিজ। প্রতিবাদীর বুলেটবিদ্ধ দেহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটেছেন একজন রিকশাচালক। শেষমেষ আর প্রাণে বাঁচাতে পারেননি নাফিজকে।
সেই রিক্সারচালক নূর মোহাম্মদ। অভ্যুত্থানের ৬ মাসে মানুষের এতো এতো দাবি আর অবরোধ দেখে বিরক্ত তিনি।রিক্সাচালক নূর মোহাম্মদ বলেন, এতোদিন পাবলিক কই ছিলো? মুখে তালা দেয়া ছিলো? মূল কথাই কেউ বলেন না, পাতিলে ভাত শেষ। এতো এতো দাবি করে কি হবে বলে প্রশ্ন করেন এই রিক্সাচালক।
ইন্টারনেট শাটডাউন করে দেশে যখন চলছে হত্যাযজ্ঞ, তখন বসে থাকেননি প্রবাসীরা। প্রতিবাদী অবস্থান নেন দেশগুলোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। হুঁশিয়ারি দেন, গণহত্যা বন্ধ না করলে কেউ আর রেমিটেন্স পাঠাবেন না। ৬ মাস পর তাদের কী হিসেব-নিকেশ?
জাপান পরবাস সম্পাদক কাজী ইনসানুল হক বলেন, দেশ যারা চালাচ্ছে, সেখানে ভালো-মন্দ লোক রয়েছে। তারা যে খুব ভালভাবে দেশ চালাচ্ছে, এমনটা মনে হচ্ছে না।
জাপানের ইউকোহামা ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার আব্দুল মালেক বলেছেন, প্রশাসনিক ও আইন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাঁজাতে হবে। যাতে করে মানুষ দেশে আইনের শাসন পায়। প্রশাসন যেন দেশের জন্য কাজ করে; কোন ব্যক্তি কিংবা দলের নয়। সেই সাথে দেশে যেন শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসে।