কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের একটি কাছ থেকে মৃত আব্দুর রহমানের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে জাহানারা বেগমের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ধারের পাড়া গোবরগাড়া গ্রামের গৈরির মাঠে জিনা মেম্বারের পুকুরপাড়ের একটি বরই গাছ থেকে নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে দৌলতখানা পুলিশ।
দ্বারের পাড়া গ্রামের মৃত রমজান মন্ডলের ছেলে গোলাপ রহমান বলেন জমিতে সেচ দেয়ার জন্য মাঠে গিয়ে দেখি একটি মানুষ বরই গাছের কাছে ঝুলছে। পরে আমি স্থানীয়দের খবর দেই। পরে স্থানীয় মানুষজরা জানান এশার নামাজের পরে দাঁড়ের পারা মোড়ের একটি দোকানে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল।
জাহানারার ভাই রাহাতুল ইসলাম ও ভাইয়ের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, জাহানারা বাকপ্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিনের ন্যায় সংসারের কাজকর্ম শেষে সন্ধ্যার পরে হাটাহাটির জন্য বাইরে বের হয়েছিল। পরে আর বাড়ি ফেরেনি। সে বাক প্রতিবন্ধী হলেও সংসারের সকল কাজ করতে পারে এবং মানুষের বাড়িতেও কাজ করতো।
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ ঝুলছে’ এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তার শরীরের জামাকাপড় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এবং তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন। তিনি দাবি করেন, তাকে ধর্ষণ করে পরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি জানায় এলাকাবাসী।