মায়ের সঙ্গে পুরুষের অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেলায় জীবন দিতে হলো মেয়েকে। তবে বাঁচতে পারলেন না মাও। কথিত প্রেমিক মেয়েকে হত্যা পর মাকে হত্যা করে। তার মাথায বডি থেকে আলাদা করে দিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে। ঘটনাটি রংপুরের পীরগঞ্জের চতুরায়। পুলিশ কথিত প্রেমিক আতিকুর কে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার রংপুরের পীরগঞ্জের চাতুরা বদনা বাজার এলাকার পুলিশের ক্রাইম সিনের টিম পরীক্ষার পরে নিশ্চিত করে নিহতের নাম দেলোয়ারা। এ নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের পর এই ঘটনায় শনিবার একই এলাকার আতিকুর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে তথ্য।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে যাত্রাদলের নাট্যকর্মী দেলোয়ারাকে স্ত্রী পরিচয়ে বাড়িতে আনে আতিকুর। তার সাথে ছিল ৬ বছর বয়সী মেয়ে সায়মা। মায়ের সাথে আতিকুরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে শিশুটি। পরে শিশু সায়মাকে হত্যা করে বাড়ির পাশে পুতে রাখে আতিকুর। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে শুক্রবার দেলোয়ারাকে গলা কেটে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেয়া হয় বিচ্ছিন্ন মাথা। আতিকুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার শিশুটির মরদেহ ও মায়ের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফা আফরোজ আদুরী জানান, আতিকুরকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে সে কিছুই বলছিল না। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের পর সে স্বীকার করে। বাচ্চাটাকে (সায়মাকে) সে মেরে ফেলেছে। প্রথমে প্রচণ্ড মারে। পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরেই রেখে দেয়। রাতের বেলা বাচ্চাটার লাশ বাড়ির পাশে একটি গর্ত করে রেখে দেয়। এরপর সে স্বাভাবিক ছিল। পরে বাচ্চাটাকে নিয়ে দেলোয়ারার সাথে বিরোধে জড়ায়। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শুক্রবার ভোরে তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ মাথা পাশের করতোয়া নদীতে ফেলে যায়।