বাংলাদেশের জনগণের বিরোধিতার মতো ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন হাসিনা সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণে বিক্ষোভ দমন করার কৌশল নিয়েছিলেন তারা। এর অংশ হিসেবে শত শত বিচার বহির্ভূত হত্যা নির্বিচার গ্রেপ্তার আটক ও নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে যুক্তিসঙ্গত বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার এর তথ্য দিয়েছেন।
বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে টুর্কের এমন বক্তব্য তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয় গত বছর ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় আওয়ামী লীগের সহিংস কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত ছিল।
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘জনবিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে একটি পরিকল্পিত এবং সুসমন্বিত কৌশল হিসেবে এমন নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছিল সাবেক সরকার। বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।