গাজীপুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় ৭ই ফেব্রুয়ারি রাতে গুরুতর আহত হয় শিক্ষার্থী আবুল কাশেম। আহত অবস্থায় ভর্তি করানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা জানায় তার মাথায় বেশ কয়েকটি কপের যখম ছিল। অস্ত্র প্রচার করার পরও হয়নি কোনো উন্নতি। পরে বুধবার বিকেলে মারা যায় সেই শিক্ষার্থী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে আবুল কাশেমের মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ তার জানাজায় অংশ নেয় বহু মানুষ। জানাজার আগে হত্যার বিচার দাবি করে ছাত্র নেতারা।
জানাজা শেষে আবুল কাশেমের কফিন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্ররা। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ছাত্র নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের নাম মুছে না ফেলা পর্যন্ত বাংলার মাটি কলঙ্কমুক্ত হবে না।
পরে শাহবাগ থেকে গাজীপুরে নেয়া হয় আবুল কাশেমের মরদেহ। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোর্ডবাজার এলাকায় আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে আবুল কাশেমকে।
এদিকে, আহত শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়। হয়েছে গায়েবানা জানাজা ও খাটিয়া মিছিলও। বুধবার রাতে গাজীপুর জয়দেবপুর শিববাড়িতে বিক্ষোভ-মিছিল বের করা হয়। এ সময়, দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা।