দিনভর বিক্ষোভে উত্তাল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় সাতটি একাডেমী ভবন ও একটি প্রশাসনিক ভবনের তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
হামলাকারীদের শাস্তি উপাচার্য এবং উপ উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হয়নি কোন ক্লাস পরীক্ষা। দুপুর একটার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় সাতটি একাডেমী ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে তারা। মঙ্গলবারের হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবারের হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা এখনও কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান করছে।
এদিকে, দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রদল। তাদের অভিযোগ, বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান মো. ইয়াহিয়া বলেন, ছাত্রদল কারও ওপর হামলা করেনি।
কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। কুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম সিন্ডিকেট সভার এসব সিদ্ধান্তের সত্যতা স্বীকার করেন।