২ দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মুশফিকের ওয়ান ডে যাত্রা থামালো। ২০০৬ সালে হারাতে মুশফিকের যেদিন অভিষেক হয় সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মাসুদ। উইকেটের পেছনেও ছিলেন তিনি। পরের বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের দলে জায়গা পান মুশফিক। সেই থেকে বাংলাদেশের একটি বেড়ে ওঠা প্রজন্ম। উইকেটের পেছনে বেশিরভাগ সময় একজনকে দেখেছে। তিনি হচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। যাকে ভালোবেসে ডাকে মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ওয়ান ডে ক্রিকেট কে বিদায় জানালেন তিনি।
অবসরের ঘোষণায় মুশফিক তার পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি গভীরভাবে আমার পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই, যাদের ভালোবাসার জন্য আমি ১৯ বছর ক্রিকেট খেলেছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন এবং সঠিক ঈমান দান করুন।
মুশফিকুর রহিমের এই অবসর বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি খেলেছেন ২৭৪ ম্যাচে। ২৫৬ ইনিংসে তিনি রান করেছেন ৭৭৯৫। তার ক্যারিয়ারসেরা ১৪৪ রানের ইনিংসটি এসেছিল ২০১৮ এশিয়া কাপে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা এক ইনিংস হিসেবে বিবেচিত হয়।
উইকেটের পেছনে ভূমিকার জন্য নন্দিত হয়েছেন যেমন, বহুবার সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। তিনি এই ফরম্যাট ছাড়ার আগে নামের পাশে রেখে যাচ্ছেন ২৪৩টি ক্যাচ, আর ৫৬টি স্ট্যাম্পিং।
চলমান আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি।