বৃহত্তর শান্তিরক্ষী মিশনের অংশ হিসেবে প্রয়োজন হলে ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একসূত্রে বলাতে সাউথ চায়না মডিং এ তথ্য জানায়। তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচিত হলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে একটি মিশনে অবদান রাখার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হবে।
তুরস্কের এমন আগ্রহের কথা জানা গেল তখনই, যখন ইউক্রেন ও ইউরোপের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার উপায় খুঁজে বের করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রাসেলসে সাক্ষাৎ করেছেন।
কারণটা খুবই স্বাভাবিক। ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য প্রদান স্থগিত করেছেন। এমন অবস্থায় ইউরোপের সবদেশকে একত্রিত হয়ে সাহায্যের হাত বাড়াতে বলেছেন জেলেনস্কি।
তবে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কিয়েভকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মান ভিত্তিক থিংকট্যাংক কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, গেল তিন বছরে কিয়েভের পেছনে প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলার ঢেলেছে ওয়াশিংটন। যার সিংহভাগই গেছে সামরিক সহায়তা খাতে। পরিসংখ্যান বলছে- এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে আনুমানিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।