রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে বিগত দিনে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বিজিএমইএ’র ভূমিকা। শ্রমিক-মালিক কিংবা শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি সংগঠনটি। তবে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির স্বার্থে শক্তিশালী হতে হবে বিজিএমইএকে।
দেশের পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়ন, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তাদের কল্যাণ এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে চার দশক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বিজিএমইএ। কিন্তু, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি ও শিল্পের উৎকর্ষতায় উপযুক্ত ভূমিকা না রাখতে পারায়, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সংগঠনটির ভূমিকা।
গেলো দেড় দশকে, এই বাস্তবতা যেনো সামনে এসেছে আরো স্পষ্টভাবে। তাই, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে, একটি কার্যকর প্ল্যাটফরম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে অন্য সংগঠনগুলোর মতো বিজিএমইএ নিয়েও ভাবতে শুরু করে সরকার। সে উদ্দেশেই, আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংগঠনের নির্বাচন। খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পুরোনো ব্যর্থতা ঢেকে, একটি নতুন প্রত্যাশার জন্ম দিতেই গুরুত্বপূর্ণ এবারের নির্বাচন।
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে। যারা কোনো কোনোভাবে খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তবে, এর আগে এই খাত ঘিরে নানা সমস্যা সামনে এলেও, সমাধানের বহু বিষয় চাপা পড়ে গেছে রাজনৈতিক কারণে। তাই, আগামীতে এসব ছাপিয়ে বিজিএমইএকে শ্রমিক ও উদ্যোক্তাবান্ধব হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।