বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
এরআগের প্রায় ১৬ বছর বেশ ঘটা করে পালন করা হতো দিনটি। কেন্দ্রীয়ভাবে তো বটেই, পাড়ায়-মহল্লায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা নানা আয়োজন করতেন। তবে এবার তেমনটি হচ্ছে না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগের পর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। রাজনীতির মাঠে একেবারেই ব্রাত্য আওয়ামী লীগ। ফলে সাদামাটাভাবে কাটছে দিনটি। দলের পক্ষ থেকেও তেমন কোনো আয়োজনের খবর শোনা যায়নি।
তবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের একাধিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে পোস্ট ও ভিডিও শেয়ার করতে দেখা গেছে।
চার বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিশোর বয়সেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তিনি প্রথমবার কারাবন্দি হন। ১৯৭১ সালে তার নেতৃত্বে একত্রিত হয় বাঙালি। মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে। অর্জন করে নতুন সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত শিশু দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়।