দুনিয়া বদলাতে চাইলে ব্যবসাতে সবচেয়ে শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন সবাই মিলে উপার্জন করে মানুষের ভাগ্য বদল করাটা স্বর্গীয় অনুভূতি। কার্বন নিঃসরণ বাদ দিয়ে আমরা নতুন সভ্যতা করতে পারি। বর্তমান সভ্যতা আত্মবিধ্বংসী।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে। এ ব্যবসা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। একসময় ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র গ্রামে শুরু হলেও এখন এটি আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এসময় তিনি বিদিশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন উন্মুক্ত। বাধা ছাড়াই এখানে করা যাবে ব্যবসা। বিদেশিদের নিজ দেশের মতই এদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে। বলে মন্তব্য করেছেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি কিছু সময়ের জন্য চুপ হয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম সম্মিলিতভাবে পৃথিবীকে বদলে দেবে। তারা সরকারের অপেক্ষায় বসে থাকবে না। সেই নতুন বিশ্ব গড়তে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশে ব্যবসা করা শুধু এ দেশেই বিনিয়োগ নয়, বরং এর অর্থ বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসার অংশ হওয়া।