অগ্রণী ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ রহমানের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জেরে নজির মিয়া মুজিব তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভাড়াটে খুনিদের মাধ্যমে মিসবাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ছবি পাঠানো হয়। কিন্তু খুনিরা ভুল করে সেই ছবি দেখে আইনজীবী সুজন মিয়াকে মিসবাহ ভেবে হত্যা করে।
গত ৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে পৌরসভার সামনে ফুটপাতে ফুচকার দোকানের পাশে সুজন মিয়াকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বুধবার মামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে নজির মিয়া মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পৌর শহরের রঘুনন্দনপুর গ্রামের মৃত সিজিল মিয়ার ছেলে মো. আরিফ মিয়া, দিশালোক এলাকার আনসার মিয়ার ছেলে হোসাইন আহমদ সোহান, রাজনগরের মাথিউরা চা বাগানের মনা নাইডুর ছেলে লক্ষন নাইডু ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কাশিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম ছেলে আব্দুর রহিম।
এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ অন্যান্য পলাতক হত্যাকারীদের পরিচয় উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে, তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে হত্যাকারীদের নাম প্রকাশ করছে না।