নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে গণপিটুনিতে আব্দুল কাদের মিলন নামের এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ঢাকায় নেয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। শুক্রবার রাতে চরপার্বতী ২ নং ওয়ার্ডের হাজারী হাট সংলগ্ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে গণপিটুনি দেয় দুর্বৃত্তরা।
মিলন রাজনীতির সঙ্গে যুক্তও ছিল না। তবে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর অনেকটা গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন তিনি। এর মধ্যে ওমরাহ করেন। ওমরাহ শেষে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার বাড়ির উদ্দেশ্যে আসেন। এ সময় উপজেলার হাজারী হাট সংলগ্ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে মিলনকে আটক করে দুর্বৃত্তরা গণপিটুনি দিয়ে ফেলে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দুই দফায় গেলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনকে উদ্ধার করে ৫০ শয্যা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে শনিবার সকালে দিকে ঢাকায় নেয়ার পথে কাচপুর এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বিএনপির নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তাদের আশ্বাসেই মিলন বাড়িতে আসছিল। পথে জামায়াতের লোকজন তাকে আটক করে এবং ব্যাপক মারধর করে। পুলিশ এসেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। পরে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে।
চরপার্বতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও ইউপি চেয়ারম্যান গাজি হানিফ বলেন, এমন মৃত্যু কারো জন্য কাম্য নয়, জামায়াত কাউকে পিটিয়ে হত্যার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। তারপরও যদি এ ঘটনার সঙ্গে জামায়াতের কারও সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে দলীয়ভাবে তা তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।