ভারতে ওয়াকফ সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনে মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বাবা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে শামসেরগঞ্জের বাড়ি থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম হরগোবিন্দ দাস(৭৪) ও চন্দন দাস(৪০)। এছাড়াও গতকাল শুক্রবার সুতির সাজুর মোড়ে গুলিবিদ্ধ কিশোরেরও মৃত্যু হয়েছে।
বিক্ষোভের সময় আগুনে পোড়ানো হয়ছে একাধিক প্রাইভেট গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পুলিশের গাড়ি। রেহাই পায়নি অ্যাম্বুলেন্সও। লুঠপাট করা হয়েছে বহু দোকান ও বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
তবে, সবচেয়ে বেশী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর এবং সুতি এলাকায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের দ্বারা সাধারণ মানুষের যানবাহন ও সম্পত্তি লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ প্রভৃতি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বহু পুলিশ সদস্য।
পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা, পেট্রোল বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালেও মুর্শিদাবাদ জেলাতেই ফের শুরু হয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। বিক্ষোভকারীরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও ভাঙচুর করা হয় বিডিও অফিসসহ জেলার সমস্ত সরকারি অফিসগুলোতেও।
রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজিব কুমার শনিবার সাংবাদিকদের জানান, মুর্শিদাবাদের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কোন জাতি ধর্ম দেখবে না। বেশ কিছু জায়গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেখামাত্র গুলির নির্দেশে দেয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।