কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে শিশু ছিনতাইকারী সন্দেহে সন্তানের সামনে বাবাকে বেধড়ক পিটিয়েছে অতি উৎসাহী জনতা। পরে আহত ইলিয়াস হোসেন সোহেল মিয়াকে (৩০) উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে থানা পুলিশ। রোববার বিকেলে কুলিয়ারচর উপজেলার রামদি ইউনিয়নের তাতারকান্দিতে। মারধরের শিকার সোহেল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর পৌর শহরের হারুয়া সওদাগর পাড়ার জজ মিয়ার ছেলে।
কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া সওদাগরপাড়ার সোহেল মিয়ার (৩০) সঙ্গে প্রতিবেশী সাবিনা আক্তারের (২৫) বিয়ে হয়েছে ১০ বছর আগে। এই দম্পতির তিন সন্তান। এর মধ্যে ৩ বছরের শিশুকন্যা রাইসা সবার ছোট। কিছুদিন আগে সোহেলকে তালাক দেন সাবিনা। সন্তান রয়ে যায় বাবার কাছে। কিন্তু তিন বছর বয়সী রাইসা মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্না করতে থাকে।
এরপর সন্তানের কান্না থামানোর জন্য সাবেক স্ত্রীর খোঁজে বের হন সোহেল। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে রাইসাকে নিয়ে সোহেল একই জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করার সময় মায়ের জন্য কান্না করছিল রাইসা। এ সময় সোহেলকে অপহরণকারী ভেবে পথরোধ করে স্থানীয় লোকজন। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে। এসময় বারবার আকুতি করেও শেষ রক্ষা হয়নি সোহেলের। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে সোহেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রমাণ হয় সোহেল অপহরণকারী নন। কোলে থাকা শিশুটি তারই মেয়ে। এ ঘটনার পর পরিবারের কাছে সোহেলকে তুলে দেয়া হয় বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।