পদ্মা নদীর উক্ত দুটি পয়েন্টে চলমান (এম.পি ডাঙ্গী ও শালেপুর) ঘাটটি জবর দখল করে নিতে গিয়ে গত শুক্রবার লোকজন দিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলী প্রামাণিক। এতে উক্ত নৌ-রুটের যাত্রীসহ ঘাট কর্তৃপক্ষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলী প্রামাণিক উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরহাজীগঞ্জ টু নয়াবাড়ী ঘাটটি চলতি বছর ইজারা নিয়েছেন। তিনি একটি মাত্র ঘাট ইজারা নিয়ে প্রভাব প্রতিপত্তি ও জোর ঘাটিয়ে এবং বিএনপির রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আশপাশের পদ্মা নদীর পাঁচটি ঘাট দখল করেছেন। একই সঙ্গে উপজেলা সদর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর এম.পি ডাঙ্গী গ্রামের ঘাট ও চরহরিরামপুর ইউনিয়নের শালেপুর জৈনদ্দিন বিশ্বাসের ঘাটটিও দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
রোববার উপজেলা পদ্মা নদীর এম.পি ডাঙ্গী ও শালেপুর জৈনদ্দিন বিশ্বাসের ঘাট ইজারাদার ভুক্তভোগী সোহেল খান (৫০) জানান, গত বিশ বছর ধরে এম.পি ডাঙ্গী ও শালেপুর ঘাট দুটি চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী গোপালপুর ও মৈনট আন্তঃজেলা ঘাটের অধীনে চলে আসছে। তিনি জানান, প্রতি বছর আমরা গোপালপুর ও মৈনট আন্তঃজেলা ঘাট মালিকের কাছ থেকে সাব-ইজারা নিয়ে এবং উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন এনে গত ছয় বছর ধরে আমি ঘাটটি পরিচালনা করে চলেছি। চলতি বছরেও একই কায়দায় ঘাটটি চালাচ্ছিলাম।
তিনি আরও জানান, তার ঘাট থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরত্বের পশ্চিম দিকে পদ্মা নদীর চরহাজীগঞ্জ ও নয়াবাড়ী ঘাট ইজারাদার আলী প্রামাণিক হঠাৎ করে গত শুক্রবার সকালে তার লোকজন দিয়ে যাত্রী পারাপারের জন্য শালেপুর জৈনদ্দিন বিশ্বাসের ঘাটে ট্রলার লাগায়। উক্ত বিএনপি নেতার লোকজন গিয়াস ফকির (৫০) আজম শেখ (৪৫) ও মঙ্গল শেখ (৫৫) পদ্মা ঘাটের যাত্রীদের জোর পূর্বক তাদের ট্রলারে উঠাতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় আলী প্রামাণিকের মাঝিরা বলতে থাকে ‘আমরা বিএনপি নেতার অনুমতি নিয়ে ঘাটে ট্রলার লাগিয়েছি, তোকে আমরা দেখে নেবো।’ এসব হুমকি-ধুমকীর পর তারা শালেপুর জৈনদ্দিন বিশ্বাসের ঘাট ইজারাদার ভুক্তভোগী সোহেল খানের নামে বিভিন্ন মামলা দায়েরের পাঁয়তারা করছে বলে জানা গেছে।